ঢাকাশুক্রবার , ১৩ জুন ২০২৫
  1. অপরাধ
  2. অর্থনীতি ডেস্ক
  3. আন্তর্জাতিক
  4. ইতিহাস
  5. খেলা
  6. চাকরি
  7. জাতীয়
  8. জামায়াতে ইসলামী
  9. বঙ্গবন্ধু
  10. বিনোদন
  11. বিশ্ব
  12. বীর মুক্তিযোদ্ধা
  13. মতামত
  14. যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগ
  15. রাজনীতি
আজকের সর্বশেষ খবর

ইউনূস-তারেক বৈঠক এবং ইউনূসের পঞ্চম শূন্য

নিজস্ব প্রতিবেদক
জুন ১৩, ২০২৫ ৩:৪১ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

ডঃ ইউনূস তারেক জিয়ার সঙ্গে কী আলাপ করবে? বাংলাদেশের অন্য সব মানুষের মতো আমিও ভাবছিলাম। ভেবে কোনো রাজনৈতিক কারণ বের করতে পারিনি। তারেকের সঙ্গে সে এমন কী কথা বলবে যা ইন্টারনেটের মাধ্যমে সম্ভব না? এমন না যে, আওয়ামী লীগ পাওয়ারে আছে, তার ফোন ট্যাপ করবে বা ভাইবারে আঁড়ি পাতবে।

পরে খালেদা জিয়ার কেস মনে পড়লো। ইউনূস এর আগে যখন একবার চাপে পড়লো, তখন খালেদা জিয়াকে দাওয়াত দিয়ে নিয়ে একবেলা খাইয়ে হ্যান্ডশেক করে বিদায় দিলো। কিন্তু, রাজনীতিতে তার কোনো প্রভাব পড়েনি। শুধু বিএনপির লোকজন একটু শান্ত হয়েছিলো। এবারও নির্বাচন নিয়ে স্পষ্টতই বিএনপির কথায় ইউনূস কর্ণপাত করছে না। জামায়াতের পরামর্শ মতো এপ্রিলের কথা বলে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করছে। এপ্রিলে অবশ্যই বাংলাদেশে নির্বাচন সম্ভব নয়। আবহাওয়া, এসএসসি পরীক্ষা, রোজার মতো কারণগুলো সবাই জানেন। আমি আর না বলি।

তাহলে কেন তারেক জিয়ার সঙ্গে এই আলাপ? এই আলাপের মাধ্যমে সে অবশ্যই তারেক জিয়াকে প্রস্তাব দিবে না যে এপ্রিল পর্যন্ত ধৈর্য্য ধরো, তারপরে তো তুমিই প্রধানমন্ত্রী। আবার তারেক জিয়াও অবশ্যই ইউনূসকে বিশ্বাস করে না। তাকে বিশ্বাস করলে সে অনেক আগেই দেশে ফিরতো। তাহলে?

হ্যাঁ, তারেক জিয়ার সঙ্গে ইউনূসের বৈঠক আরেকটি মুলো, ইউনূসের অভিধান ব্যবহার করে বলা যায়, এটি ইউনূসের ৫ম শূন্য। এই লেখায় বরং ইউনূসের এই ৫টি শূন্য নিয়ে আলোচনা করি।

১) শূন্য দারিদ্র‍্য:
এর উদ্দেশ্য হিসেবে বলা হয়, সামাজিক ব্যবসা ও ক্ষুদ্র ঋণের মাধ্যমে দারিদ্র‍্য দূর করা হবে। স্পষ্টতই এটা ভাওতাবাজি। ইউনূসের আসল উদ্দেশ্য দরিদ্র লোকদেরকে নিয়ে ব্যবসা করা। সেই দরিদ্র লোকজনই যদি না থাকে, তাহলে তো তার ব্যবসাই মুখ থুবড়ে পড়বে। এই ভাওতাবাজির ফলে ইউনূস বিলিয়নিয়ার হয়েছে; কিন্তু দরিদ্র জনগোষ্ঠীর দারিদ্র‍্য দূর হয়নি; বরং অনেকেরই ঘরের চাল গেছে।

২) শূন্য বেকারত্ব:
এটাও ভাওতাবাজি। পৃথিবীর এমন কোনো দেশ নাই, যেখানে বেকারত্ব নাই। সুতরাং তাত্ত্বিকভাবেই বলা যায়, শূন্য বেকারত্ব সম্ভব নয়। ব্যবহারিক দিক হলো, কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে বেকারত্ব যতোটা সম্ভব কমানো। ইউনূস আবার নিজে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে চায় না। সে চায়, প্রত্যেকটা মানুষই উদ্যোক্তা হবে এবং নিজের কর্মসংস্থান নিজেই করবে। মূল ভাওতাবাজি এখানেই। উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য তাদেরকে ঋণ নিতে হবে। ইউনূসের ব্যবসা চলমান থাকবে।

৩) শূন্য নেট কার্বন নিঃসরণ:
এই বিষয়টা কেউ বুঝে ব্যবহার করে, কেউ আবার না বুঝে। তারা ভাবে সবাই যখন বলছে, আমি কেন লেফট আউট হবো! তবে ইউনূস যেহেতু ধুরন্ধর লোক, সে অবশ্যই এই বিষয়টা বুঝে। তবে এখানেও তার বিজনেস। জলবায়ুর মোকাবেলায় সে সাস্টেইনেবল বিজনেস মডেল ব্যবহার করে কার্বন নিঃসরণ কমাতে চায়। এই বিজনেস মডেলের উদাহরণ সে সৃষ্টি করেনি। তবে এতে ২টা খাতে তার লাভ হবে। প্রথমত, এই শ্লোগান দেখিয়ে সে তার দাতব্য প্রতিষ্ঠানগুলোয় অনুদান পাবে। দ্বিতীয়ত, এটাও তার উদ্যোক্তা বিজনেসের দিকে মানুষকে ধাবিত করবে। স্পষ্টতই ইউনূসের ১০ মাসে বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য ধংস হয়েছে। এমন কোনো বিজনেস মডেল প্রসার লাভ করেনি, যা কার্বন নিঃসরণ কমাতে সাহায্য করে। অবশ্য শিল্প-কারাখানা পুরোপুরি বন্ধ করে দেয়াকে যদি আপনি কার্বন কমানো মনে করেন, তাহলে আপনিই সঠিক, আমি ভুল।

৪) শূন্য একাত্তর:
একে সংক্ষেপে ইউনূসের রিসেট বাটন প্রেসও বলা হয়। এই বাটনের মাধ্যমে একাত্তরে স্বাধীন হওয়া বাংলাদেশকে সে মুছে ফেলতে চায়। এক কাজটা করার জন্য সে আপ্রাণ চেষ্টা করছে অবশ্যই। তবে এখানেও তার বিজনেস। একাত্তরের পরাজয়ের প্রতিশোধ নেয়া আমেরিকা ও জামায়াত ও পাকিস্তানের পক্ষে কাজ করার মাধ্যমে সে ঠিকই লুটপাট করে নিজের আখের গুছিয়ে নিচ্ছে।

৫) শূন্য গণতন্ত্র:
ইউনূস গণতন্ত্রে প্রবলভাবে অবিশ্বাসী একজন অমানুষ। ২০০৭-এ সে অগণতান্ত্রিকভাবে দীর্ঘ সময়ের জন্য ক্ষমতা চেয়েছিলো। কিংস পার্টি গঠনের উদ্যোগ নিয়েছিলো। কিন্তু অল্প সময়ের মধ্যেই সরে আসে। কারণ, ভোট হলো চাষাভুষার কাজ, ইউনূস তো ফেরেশতা! তাকে কি আর ভোট করা মানায়! এবারও সে বলেছে, সে ভোট করে প্রধানমন্ত্রী হতে চায় না। কিন্তু ক্ষমতা ঠিকই আঁকড়ে ধরে বসে আছে। তারেক জিয়ার সাথে টার লন্ডনের বৈঠকও এই শূন্য গণতন্ত্র প্রজেক্টের অংশ। বিএনপির সামনে একটি মুলা ঝুলিয়ে তাদেরকে আপাতত ঠাণ্ডা করার চেষ্টা হচ্ছে। তারেকের সাথে হয়তো কোনো ব্যবসায়িক ডিল-এ আসা হবে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ইংল্যান্ডের বিলাশবহুল জীবন ছেড়ে বাংলাদেশে এসে নির্বাচন করার কোনো ইচ্ছা তারেক জিয়ারও নেই। সেও ইউনূসের মতোই খুনি এবং অগণতান্ত্রিক ভাবধারার মানুষ। কিন্তু বিএনপির সমর্থকদের মধ্যে গণতান্ত্রিক মানুষের অভাব নেই। তারা নির্বাচন চায়। বিশেষ করে, আওয়ামী লীগের অনুপস্থিতিতে তারা মনে করছে, বিএনপির বিজয় অবধারিত। ১৬ বছর ধরে ক্ষমতার বাইরে থেকেও তারা অধৈর্য্য হয়ে পড়েছে। তাদেরকে ঠাণ্ডা করতেই এই বৈঠক। খালেদা জিয়া ইতোমধ্যে ঘোষণা দিয়েছে, বা তার নামে ঘোষণা দেওয়ানো হয়েছে, ইউনূসের ব্যাপারে ধৈর্য্য ধারণের। তারেকও একই কথা বলবে। বিএনপির সমর্থকদের নাকের সামনে আরো দশ মাসের মুলো ঝুলানো হবে। কিন্তু ইউনূস শূন্য গণতন্ত্রের লোক। সে কখনো নির্বাচন দিবে না।

নির্বাচনই যদি দিবে তাহলে তার শূন্য গণতন্ত্র বাস্তবায়িত হবে কীভাবে!

এই ওয়েবসাইটের সকল কোনো লেখা, ছবি, অডিও বা ভিডিও “পেজ দ্যা নিউজ” কতৃপক্ষের অনুমতি ব্যতীত কপি করা দন্ডনীয়। বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করলে কতৃপক্ষ তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার অধিকার রাখে।