পালিয়ে যায়নি আওয়ামী লীগ ৪ লাখ কারাবন্দি, ইতিহাসের সবচেয়ে বড় দমন-পীড়নের মুখে পড়েও রাজপথে অটল।
২০২৫ সালের রাজনৈতিক বাস্তবতায় যাঁরা বলেন “আওয়ামী লীগ পালিয়ে গেছে” তাঁরা হয় বিভ্রান্ত, নয়তো ইতিহাস অস্বীকার করছেন। যদি আওয়ামী লীগ সত্যিই পালিয়ে যেত, তাহলে দেশের শতাধিক কারাগারে চার লক্ষাধিক নেতা-কর্মী, জনপ্রতিনিধি, এমনকি মন্ত্রী-এমপি বন্দি থাকতেন না।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বিএনপি-জামায়াত, এনসিপি ও ধর্মান্ধ জঙ্গিগোষ্ঠী মনে করে বসেছে তারা আবার ‘দেশ স্বাধীন করেছে’। তারা কখনো স্বাধীনতার স্বাদ পায়নি, কারণ তারা মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী ছিল। এখন মুক্তিযুদ্ধের শক্তির সরকার সরিয়ে দিয়ে প্রতিশোধের রাজনীতি শুরু করেছে তারা।
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছিল একটি ভয়ংকর ষড়যন্ত্রের দিন। সেদিন রাষ্ট্রযন্ত্রের একাংশ গণতন্ত্রবিরোধী পরিকল্পনার সঙ্গে যুক্ত হয়ে আওয়ামী লীগকে হঠাৎ বিভ্রান্তির মধ্যে ফেলেছিল। অথচ সেদিন দলীয় সিদ্ধান্ত আসলে ঢাকায় কোটি মানুষের জমায়েত অসম্ভব ছিল না। সরকার গেছে, কিন্তু আওয়ামী লীগ টিকে আছে গ্রাম থেকে শহর, ঘরে ঘরে।
বিএনপি এক সময় দাবি করত তাদের ৩০ হাজার নেতা-কর্মী কারাগারে। এখন আওয়ামী লীগের চার লক্ষাধিক নেতা কর্মী কারাগারে এটা নিছক কোনো সংখ্যা নয় এটা বর্তমান শাসকগোষ্ঠীর ভয় এবং আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক বিস্তারের প্রতিচ্ছবি। তারা জানে যেদিন নেতৃত্ব ডাক দেবে, সেদিন আওয়ামী লীগ আবার রাস্তায় নামবে।
বর্তমান ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী কোনো নির্বাচনে বিজয়ী নয়। তারা “জুলাই গেজেট” নামে এক অগণতান্ত্রিক ফরমুলায় রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করেছে। আদালত, প্রশাসন ও মিডিয়া ব্যবহার করে বিরোধী কণ্ঠরোধ করা হচ্ছে। শেখ হাসিনা ও তাঁর দল এই চক্রান্তকে সময় দিয়ে পর্যবেক্ষণ করছে কারণ আওয়ামী লীগ কখনও বিশৃঙ্খলার পথে হাটে না।
আওয়ামী লীগের রক্তে রয়েছে ত্যাগ, ঐতিহ্য ও স্বাধীনতার ইতিহাস। তারা জানে, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে এখন প্রয়োজন সংগঠিত প্রস্তুতি। শেখ হাসিনা যখন ডাক দেবেন, তখন দেশের প্রতিটি অঞ্চলে দলীয় প্রতিরোধ বিস্ফোরণের মতো জেগে উঠবে।
আওয়ামী লীগ মানে শুধু একটি দল নয় এটি একটি চেতনার নাম। এটি সেই শক্তি, যেটি পাকিস্তানি হানাদারদের পরাজিত করেছে, সামরিক শাসন প্রতিহত করেছে, এবং বাংলাদেশকে উন্নয়নের পথে তুলে ধরেছে।
এই দল পালিয়ে যায় না। এই দল অপেক্ষা করে সঠিক সময়, সঠিক সিদ্ধান্ত এবং সঠিক সংগ্রামের জন্য।