প্রিন্ট এর তারিখঃ জুন ৮, ২০২৫, ৪:৩৯ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ ফেব্রুয়ারি ৯, ২০২৫, ৬:২৬ অপরাহ্ণ
ওসি প্রদীপের ফাঁসির রায় দ্রুত কার্যকরের দাবিতে মানববন্ধন

সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর রাশেদ মোহাম্মদ সিনহা হত্যাকাণ্ডে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাসের দ্রুত ফাঁসি কার্যকর ও তার সহযোগীদের বিচারের আওতায় আনার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে
কক্সবাজারের
টেকনাফের সাধারণ নাগরিক ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
শনিবার বিকাল ৪ টায় টেকনাফ পৌরসভার জিরো পয়েন্ট শাপলা চত্বরে জমায়েত হয়ে মিছিল সহকারে থানার সামনের প্রেসক্লাবে গিয়ে বক্তারা বক্তব্য রাখেন।
এসময় বক্তারা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশের দ্রুত ফাঁসির রায় কার্যকর ও তার সহযোগীদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানায়।
মিছিল শেষে বক্তব্য রাখেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি মোরশেদ আলম, রবিউল হাসান মামুন, সাইফুল ইকবাল ও জুবায়ের আজিজ প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, খুনি হাসিনা সরকারের সহযোগিতায় মাদক প্রতিরোধের নামে টেকনাফের প্রায় ২০০ জনকে হত্যা করা করেছে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাস। পিতৃহারা ও স্বামী হারা লোকজনের আর্তনাদ টেকনাফের আকাশ বাতাস ভারী হয়ে উঠেছে। এসব হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করছে সাধারণ মানুষ।
২০২০ সালে ৩১ জুলাই রাতে মেরিন ড্রাইভ সড়কের টেকনাফের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনা বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান। ২০২০ সালের ৩১ জুলাই নিহত হওয়ার পর পুলিশ বাদি হয়ে টেকনাফ থানায় ২ টি এবং রামু থানায় একটি মামলা করেছিলেন। ৫ আগস্ট কক্সবাজার আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করে সিনহার বোন শারমিন শাহারিয়ার। মামলাটির তদন্ত দেয়া হয় র্যাবকে। তদন্ত শেষে ২০২০ সালের ১৩ ডিসেম্বর ১৫ জন অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযুক্ত পত্র দাখিল করা হয়। ২০২১ সালের ২৩ আগস্ট থেকে ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলে সাক্ষ্য গ্রহণ। যেখানে ৮ দফায় ৬৫ জন সাক্ষী সাক্ষ্য দেন। ২০২২ সালের ৩১ জানুয়ারি আদালত এই মামলায় ওসি প্রদীপ ও লিয়াকতকে মৃত্যুদণ্ড, ছয় জনকে যাবজ্জীবন ও সাত জনকে খালাস দেন।
এফআই/এসআর
© স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৫