নাজমুল হোসেন পাপন ৯০০ কোটি কিংবা ১০০০ কোটি, একটা এমাউন্ট ঠিকই রেখে গেছে। একটা সময় ছিল এ বোর্ডের ৯ কোটি টাকাও ব্যালেন্স ছিল না। সেই দলটাকে টেনে তুলেছিলেন এই নাজমুল হোসেন পাপন। না, টাকাটা তিনি ইনকাম করেন নি, তবে দক্ষতার সাথে বোর্ড পরিচালনা করে ঠিকই আইসিসির সেরা ৪ বোর্ডের একটা হয়েছে, এই খবর সবারই জানা। ভারত,অষ্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ডের পর বাংলাদেশ চতুর্থ ধনী ক্রিকেট বোর্ড। কিন্তু এই দেশের ক্রিকেট উন্নয়ন নেই, ক্রিকেট উন্নয়ন করতে হলে বিসিবিতে কর্মরত অপশক্তিকে আগে অপসারণ করতে হবে।
নাজমুল হোসেন পাপন নেই কিন্তু অপশক্তি ঠিকই রয়ে গেল। যখনই তামিম ইকবাল নিজে সংগঠক হলো কিংবা চারপাশে গুঞ্জন ছিল তামিম বোর্ডে আসতে পারেন, ঠিক তখনই তামিম ইকবালকে নিয়ে নোংরামি শুরু হয়ে গেছে। যাই হোক আমি তামিম ইসুতে কিছু বলতে চাই না, আমি ২০২৩ সালে করা নাজমুল হোসেন পাপনের সেই পোস্ট আবার শেয়ার দিলাম। যেই পোস্টে ৫২৬ কে রিচ ছিল, ১০,০০০+ এনগেজমেন্ট ছিল,২৬ শেয়ার ছিল, ১০০ হাহা রিয়েক্ট ছিল।
⤵️ সেই পোস্ট।
সিমপ্যাথি দেখাতে চাই না, শুধু বলতে চাই, সাথে স্মরন করিয়ে দিতে চাই। আমি এ নিয়ে বেশ কয়েকবার লিখেছে, নানা অনিয়ম আর দূর্নীতির ভিড়ে বাংলাদেশ ক্রিকেটকে নিয়ে যিনি ভাবেন তিনি হলেন নাজমুল হোসেন পাপন। বাংলাদেশ ক্রিকেটকে যিনি হৃদয়ে লালন করেন তিনি হলেন পাপন। তবে ওনার ক্রিকেট নিয়ে হাস্যকর যুক্তি আর মন্তব্যের কারনে বোঝাই যায় না, তার ক্রিকেটীয় সেন্স কতটা।
তবে তিনি যাদের নিয়ে কমিটি ঘঠন করেন তারা তার পক্ষে সাফাই গায় না সেটা স্পষ্ঠ হয়েছে। তারা তার নির্ধারিত রুটিন কিংবা নিয়মের বাইরে গিয়ে টিম পরিচালনা করে। মনমতো নিজেদের সিদ্ধান্ত নেন। বাশার, নান্নুসহ নাইমুর রহমান দূর্জয়, জালাল ইউনূস, নিজামউদ্দি সহ অনেকেই আছেন, যাদের ভীরে পাপনকেই ভিলেন মনে হয়।
একটা মেয়ে ঘরর বউ থাকতে যেরকম দৃষ্টিভঙ্গি প্রদর্শন করে শ্বাশুড়ি হওয়ার পর পুরা ১৮০ ডিগ্রী পল্টি নেয়। নারী নির্যাতনের পেছনে কিন্তু এসব নারীদের অবদান অনস্বীকার্য।যেই মা তার ছেলের বিয়েতে ঘর সাজানোর আসবাব চায়, সেই একই মা নিজের মেয়ের বেলায় যোগী আদিত্যনাথের মত দুইদিনের ধার্মিক সেজে যৌতুকের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়।
পাপনের আন্ডারে ক্রিকেট পরিচালনা করা ব্যক্তিবর্গ ঐ মায়ের ভুমিকাতেই থাকেন। তারা এদিক, ওদিক দুই দিক থেকেই নিজেদের স্বার্থ হাসিল করেন। উপরে উল্লেখিত চিত্রটি বাংলাদেশ ক্রিকেটের বোর্ড সভাপতির। তিনি স্টেডিয়ামে এসেছেন নিজ দলর খেলা দেখতে। দলের পরাজয়ের মুহুর্তে নিজেকে কন্ট্রোল করার চেস্ট করলেও চোখদুটো ঠিকই ঝাপসা হয়ে এসেছে। হয়তো আজকের রাতটা জেগে কাটিয়ে দিবেন, কিংবা পরবর্তীতে ক্যামেরার সামনে ক্ষোপ ছাড়বেন।