বিমান সংস্থা এয়ার ইন্ডিয়া জানিয়েছে, বিমানে মোট ১৬৯ জন ভারতীয়, ৫৩ জন ব্রিটিশ, ৭ জন পর্তুগিজ ও ১ জন কানাডিয়ান যাত্রী ছিলেন।
বিমান সংস্থা এয়ার ইন্ডিয়া জানিয়েছে, বিমানে মোট ১৬৯ জন ভারতীয়, ৫৩ জন ব্রিটিশ, ৭ জন পর্তুগিজ ও ১ জন কানাডিয়ান যাত্রী ছিলেন।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, বিমানটি একটি মেডিক্যাল কলেজের হস্টেলের দেয়ালে আছড়ে পড়ে। এতে হস্টেলের অন্তত ১২ জন ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থার খবরে জানানো হয়েছে, বিমানে থাকা সকল যাত্রীরই মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এই মর্মান্তিক ঘটনার মধ্যে এক হৃদয়বিদারক ঘটনা সামনে এসেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে দুই ব্রিটিশ যুবকের পোস্ট। যোগাভক্ত লন্ডনের জেমি মিক গুজরাট ভ্রমণে এসে ভারতে কাটানো সময়কে ‘জাদুকরী মুহূর্ত’ বলে উল্লেখ করেছিলেন।
পরদিন বৃহস্পতিবার আহমেদাবাদ বিমানবন্দর থেকে রওনা দেওয়ার কিছুক্ষণ আগেও তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন ভারতকে বিদায় জানাতে। ওই ভিডিওতে দুই যুবকের মধ্যে একজন জেমি মিক বলেন, ‘আমরা এখন বিমানবন্দরে আছি। একটু পরেই বিমানে উঠব।’ এরপর অন্য যুবক বলে ওঠেন, ‘গুডবাই ইন্ডিয়া।
১০ঘণ্টার ফ্লাইটে আবার ইংল্যান্ডে ফিরে যাচ্ছি।’ এরপর জেমি মিক আবার বলে ওঠেন, ‘খুব খুশি মনে ফিরে যাচ্ছি।’
এই পোস্ট ঘিরেই আবেগে ভেসেছেন নেটিজেনরা। অনেকেই লিখেছেন, ‘জীবনের শেষ পোস্ট হয়ে গেল এটা’। ঘটনার পর তড়িঘড়ি গুজরাট পৌঁছেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। কেন্দ্রীয় সরকার থেকে শুরু করে রাজ্য প্রশাসন, সকলে পরিস্থিতি মোকাবিলায় তৎপর।
বিমান দুর্ঘটনায় ব্রিটিশ নাগরিকদের মৃত্যু ও নিখোঁজের খবরে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে যুক্তরাজ্য সরকারও। ব্রিটিশ প্রশাসন জানিয়েছে, তারা ভারতীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যোগাযোগ রেখে কাজ করছে এবং ব্রিটিশ নাগরিকদের সাহায্যের জন্য বিশেষ হেল্পলাইন চালু করা হয়েছে। গোটা দেশ ও বিশ্বে এই দুর্ঘটনা ঘিরে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। বিমান দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ অনুসন্ধানে ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
সূত্র : আজকাল ডটইন, পিংঙ্ক ভিলা